বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি কর্মী নিহতের ঘটনায় ভোলায় উত্তেজনা, পুলিশকে দায়

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫৯

ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ২টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ভোলায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন।

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীর মৃত্যুর পর উত্তেজনা চলছে ভোলায়। সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা ও বরিশালে।

বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রোববার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপি সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। তাদের অভিযোগ, বিনা কারণে বিএনপির মিছিলে হামলা করেছে পুলিশ। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহীম মারা যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ২টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। তিনি জানান, পুলিশের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের মধ্যে ৩০ জনই গুলিবিদ্ধ।

গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে বিএনপি অফিসের সামনেই রাস্তার ওপর পুলিশ বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গুলি, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই এ ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি চায় না। পুলিশ নিজে উদ্যোগী হয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করছে।’

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারেফ হোসেনও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম আচরণের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আগামী দিনে আন্দোলনের মাধ্যমে এর কঠোর জবাব দেয়া হবে।’

এ বি এম মোশারেফ আরও বলেন, ‘শুধু ভোলা নয়, সারা দেশেই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। অথচ পুলিশ ভোলার পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলেছে। আমরা এখন ভোলায় নিরাপত্তহীনতায় আছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিনসহ আরও অনেকেই।

অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার বলেন, ‘সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে পড়ে। পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ শেষে গুলি চালায়। এতে ১০ পুলিশ এবং বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আহত হয়। একজন মারাও যায়।’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এদিকে ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাফিজা তাসলিম ঐশী বলেন, ‘আমাদের এখানে যেসব রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বরিশালে রেফার করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর