বগুড়ার শাজাহানপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছে বিস্ফোরকসহ নাশকতায় ব্যবহারের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার ভোরে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সাজাপুর এলাকার ফটকি ব্রিজের উত্তর পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করে বিকেলে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বগুড়ার শাজাহানপুরের সাজাপুর দাঁড়িকামারী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন, সুজাবাদ বালাপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ঠাণ্ডু, সুজাবাদ রাজধানীপাড়া গ্রামের মোকাদ্দেসুর রহমান মোত্তাকিম, সুজাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন, জামুন্না বগুড়াপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম, লতিফপুর মধ্যপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, বেজোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আনছার আলী ও আরাফ, শেরপুর উপজেলার কলতা গ্রামের শফিকুল ইসলাম এবং একই উপজেলার কালশিমাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী।মামলার বরাতে ওসি জানান, রাতে সাজাপুর ফটকি ব্রিজের উত্তর পাশে ফাঁকা জায়গায় জামায়াত-শিবিরের অন্তত ৪০ জনের একটি দল নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যায় শাজাহানপুর থানা পুলিশের একটি দল।
অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে চারটি তাজা ককটেল, চারটি লোহার শাবল, পাঁচটি হাতুড়ি, লোহার তৈরি পাঁচটি ছেনি ও বিভিন্ন সাইজের বাঁশ ও কাঠের ১৫টি লাঠি উদ্ধার করে।
বৈঠক থেকে জামায়াত-শিবিরের অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।ওসি বলেন, এ দলটির পরিকল্পনা ছিল মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত করা, ব্রিজ ভেঙে ফেলাসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষতি করা।
পরে রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা এবং বিস্ফোরক (ককটেল) উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনের নাম উল্লেখ মামলা করে। মামলায় আরও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।ওসি আব্দুল্লাহ আরও জানান, আসামিদের বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বগুড়া শহরের বনানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শনিবার সকালে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।