বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শর্টকাট আন্দোলনেই সরকার পানিতে ভেসে যাবে: গয়েশ্বর

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২২ ২২:৪৭

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বিদায় করতে ২০১৪ সালের মতন আন্দোলনের দরকার নেই। তার চেয়েও অনেক শর্টকার্ট আন্দোলন করলে এই  সরকার নদীর পানিতে ভেসে যাবে, হাবুডুবু খাবে। তীরে ওঠার কূল-কিনারা পাবে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে ২০১৪ সালের মতো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে অনেক ‘শর্টকাট’ আন্দোলনেই সরকার নদীর পানিতে ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার বিকেলে নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে লোডশেডিং ও জ্বালানিখাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বিদায় করতে ২০১৪ সালের মতন আন্দোলনের দরকার নেই। তার চেয়েও অনেক শর্টকার্ট আন্দোলন করলে এই সরকার নদীর পানিতে ভেসে যাবে, হাবুডুবু খাবে। তীরে ওঠার কূল-কিনারা পাবে না।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোট শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়। পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পরের বছরও সেটি অব্যাহত থাকে এবং সে সময় বাস, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রোল বোমায় মারা যান প্রায় আড়াই শ মানুষ।

তবে এবার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সে সময়ের মতো আন্দোলন না করলেও হবে বলে মনে করেন বিএনপির ওই নেতা।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল দিচ্ছি না অনেক বছর। হরতাল তো সাংবিধানিক অধিকার। হরতাল দেব না, তা তো বলি নাই। অবরোধ সাংবিধানিক অধিকার। অবরোধ অনেকদিন করি না; করব না এমন কথা তো দিই নাই। হরতাল করলে কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, তার ঠিকানা আগেই বুকিং দেন।

‘মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছেন। সেটি সরকারকে ধরিয়ে দিতে হবে। তারপর হেঁটে দেখুক, হারিকেন হাতে হাঁটতে কেমন লাগে।’

বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকার টাকা পাচারে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা বলেছিলেন শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন। সে জন্য রাতারাতি কুইক রেন্টাল করলেন। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কুইক কমিশন বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় নাই, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেশি, তবে শেখ হাসিনার দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। আমরা যদি রাস্তায় সংক্ষিপ্ত আন্দোলন করি, তাহলে সরকার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই চলে যাবে।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘শুধুমাত্র লোভের কারণে আজকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গিয়েছে সরকার। এখন শহরে ২-৩ ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে ৫-৬ ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিল্পে ও কৃষিতে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

‘জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোয় সমস্যা জটিল হয়েছে। দেশে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি ও দুর্নীতি করা।’

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের চাহিদা সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেই চাহিদার অনেক বেশি পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে চুক্তি করে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ীদের লুট করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রীয় দায়দেনা ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল থেকে আগামী ৩০ বছরে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যা জনগণের পকেট কেটে করা হবে।’

বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়ল যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর