কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত দিয়েছেন এক শ্রমিক। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বলছেন, তাকে ফাঁসাতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। শ্রমিকের বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
৬ নম্বর সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুমের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই লিখিত অভিযোগ করেন মো. মেরাজুল ইসলাম। তার বাড়ি ওই ওয়ার্ডের ডোমরাকান্দা গ্রামে। তিনি মাটিকাটার শ্রমিক হিসেবে ওই প্রকল্পে কাজ করেন।
ওই লিখিত অভিযোগের একটি কপি হাতে পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে বলা হয়েছে, (বাক্যরীতি অপরিবর্তিত) অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে ১০ দিন মাটি কাটার কাজ করানো হয়েছে। কিন্তু এই কর্মসূচির সভাপতি ইউপি সদস্য মাসুম মিয়া, ২০ দিনের বিল উঠিয়ে প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা হারে ঘুষ গ্রহণ করেন। কর্মসূচিতে মোট ৬৮ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ হাজার করে মোট ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী শ্রমিক মেরাজুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অফিসে দেওয়ার নামে যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে, আমার কাছে তাদের সবার স্বাক্ষর, রেকর্ড ও ভিডিও আছে।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. মাসুম বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। যে শ্রমিকরা কাজ করেছেন তারা সবাই টাকা পেয়েছেন। তবে যারা কাজে অনুপস্থিত ছিলেন, তাদের টাকা অফিশিয়ালি কেটে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়ার নাম করে মেরাজুলসহ বেশ কয়েকজন স্বাক্ষর নিয়েছে। আমাকে ফাঁসাতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। এটা তাদেরই কাজ হতে পারে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাইয়ুমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এক শ্রমিকের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’