বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণসংগীতকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ফকির আলমগীর: মেনন

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২২ ১৪:৫২

রাশেদ খান মেনন বলেন, 'গণসংগীতকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ঐকান্তিকভাবে যে শিল্পী কাজ করেছেন তিনি ফকির আলমগীর। সেই হিসেবে বলব, উপমহাদেশের গণসংগীতের সাক্ষাৎ উত্তরাধিকার হচ্ছেন ফকির আলমগীর।'

গণসংগীতকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

গণসংগীতশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ এই আয়োজন করে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, 'গণসংগীতকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ঐকান্তিকভাবে যে শিল্পী কাজ করেছেন তিনি ফকির আলমগীর। সেই হিসাবে বলব, উপমহাদেশের গণসংগীতের সাক্ষাৎ উত্তরাধিকার হচ্ছেন ফকির আলমগীর।'

তিনি বলেন, 'ফকির আলমগীরকে দেখেছি টঙ্গীর শিল্পাঞ্চলে, আন্দোলনে দেখেছি। স্বাধীনতা ও পরবর্তী সময়ে গণসংগীতকে একেবারেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তার রাজনৈতিক ধারণা গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।'

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বকুল।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম নোমান প্রমুখ।

গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় দিনে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাতেন উদ্দিন ফকির এবং মা বেগম হাবিবুন্নেসা।

সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর একজন সফল কলামিস্ট ও লেখক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘চেনা চীন’, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান', 'গণসঙ্গীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘গণসঙ্গীত ও মুক্তিযুদ্ধ’, ‘সুরমা নদীর গাঙচিল', 'মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুরা’, 'স্মৃতিকাব্যে প্রিয় মুখ’, ‘ইউরোপের পথে পথে', 'আবহমান বাংলার লোকসঙ্গীত', 'স্মৃতি আলাপনে মুক্তিযুদ্ধ ও পপগানের সেকাল একাল’, ‘এহেরাম থেকে আরফাত'-সহ আরও অনেক গ্রন্থ সমাদৃত হয়েছে।

চিরসবুজ এই কণ্ঠশিল্পী সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন 'রাষ্ট্রীয় একুশে পদক’, ‘শেরে বাংলা পদক', 'ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক', ‘জসীম উদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা', ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা'।

এ ছাড়া 'চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মান সূচক ফেলোশিপ' ইত্যাদি।

ফকির আলমগীর ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি, বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সদস্য, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন পদে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বিসিআইসির জনসংযোগ বিভাগের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর