সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গোটা সড়ক ব্যবস্থাকে নৈরাজ্যে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমাদের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি চমৎকার স্যুট-বুট পরে খুব জোর গলায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেটা করছে, সেটা অতীতে কখনও হয় নাই।’ আপনি তো আজকে গোটা সড়ক ব্যবস্থাকে একটা নৈরাজ্যের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে নেতা-কর্মীদের পাশে নিয়ে বক্তব্য দেন ফখরুল। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বক্তব্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে শুক্রবার রেললাইনে উঠে যাওয়া মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টানেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। গতকাল ১১ জন ছাত্র মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছিল। তাদের প্রাণ গেছে। এ রকম অসংখ্য নজির আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের কারণ নিয়ে ফখরুল বলেন, “আজকে সমাবেশের যে বিষয়বস্তু, এটা সারা দেশের মানুষের দুঃখের বিষয়বস্তু। আজকে আওয়ামী লীগের অনির্বাচিত সরকার, তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে; তারা রাজনীতিকে ধ্বংস করছে, বিচার বিভাগ ধ্বংস করছে।
“যে হারে তারা চুরি করেছে, লুট করেছে, এটা বোধহয় ইতিহাসে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। অবশ্য এটা তাদের চরিত্র। স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, লুটপাট দেখে হেনরি কিসিঞ্জার দেশকে বলেছিলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’।”
সরকার উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজি করছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা বলে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজি তারা জনগণের সামনে তুলে ধরে; বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। বিশ্ববাসীকে বোঝাতে থাকে মেগা প্রজেক্ট করছে। এই মেগা প্রজেক্টে দেশের অর্থনীতির কী ক্ষতি হয়েছে, সেটা অর্থনীতিবিদরা বোঝেন, দেশবাসী বোঝেন।
‘তারা যখন শুরু করল বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াবে, তারা বলে, প্রয়োজনের অনেক বেশি বিদ্যুৎ বাংলাদেশ তৈরি করেছে। তাহলে এখন লোডশেডিং কেন? কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি। মেগা চুরি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়ে গেছে ১০টি গ্রুপের কাছে।’