কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুলে বাড়িতে ঢুকে দুই বাংলাদেশি যুবককে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্র অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অপহরণের ঘটনা ঘটলেও শনিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই দুই বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে চক্রটি অপহৃতদের পরিবার ও স্বজনদের কাছে ১১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ শামলাপুর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (আইসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যে মো. ইলিয়াসের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। অপহৃতদের সঠিক তথ্য দিতে না পারায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না।’
অপহৃতরা হলেন টেকনাফ উপজেলা শামলাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াহালী পাড়ার মোহাম্মদ মুবিনুল ও মোহাম্মদ নূর।
যুবক মুবিনুলের বাবা মো. ইলিয়াস বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আমার বাড়িতে কিছু মানুষ আসেন। প্রথমে তারা দরজা খুলতে বলেন। এরপর আমার ছেলেকে ডেকে নেয়। কিছু কথা আছে বলে আমার ছেলেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন আমার ডাকাডাকিতে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসে।
‘তবে এর আগেই তারা পাহাড়ের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা খবর দেয় ১০ লাখ টাকা দিলে আমার ছেলেকে জীবিত ফিরে দিবে। আমি এই ঘটনা পুলিশ র্যাবকে দিলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়েছে তারা।’
শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একই সময়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আরেকটি গ্রুপ মোহাম্মদ নূরকে পথ থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার পরিবারের কাছেও চাঁদা চাওয়া হচ্ছে।
অপহরণে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আলিয়াকিন গ্রুপের সদস্যরা জড়িতরা বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘এর আগেও ২০-২৫ জনকে অপহরণ করেছে এই চক্র। র্যাব, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যখন অভিযান শুরু করে তখন তারা শামলাপুর নোয়াহালী বনের মাঝে চেলে যায়। কয়েকজন স্থানীয় বাংলাদেশি নিয়ে এই চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের অপহরণ কোনোভাবেই থামছে না। এই বিষয়টি আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেকবার বলেছি। তারপরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এলাকার মানুষ খুব আতঙ্কে আছেন।’
তবে এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপহরণের কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি, কোনো অভিযোগও পাইনি।’