বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পিটিয়ে হত্যার’ পর ফেলে রাখা হয় রেললাইনে

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২২ ১৯:৫১

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাসিবুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহতের স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিমতলী রেলগেট এলাকা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ৩০ বছরের মো. হাবিবুল্লা রাজা উত্তর আরিচপুর হাফিজ উদ্দিন বেপারি রোড এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশের ধারণা, মোবাইল চুরিসংশ্লিষ্ট ঘটনায় পিটিয়ে হত্যা করে তাকে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাবিবুর রহমান শাওন ওরফে ভান্ডারি বাবু নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা এবং টঙ্গী পূর্ব থানার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

ওসি জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে নিমতলী রেলগেট এলাকায় স্থানীয়রা অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সিআইডি আঙুলের ছাপ নিয়ে মৃতের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

‘তার শরীরে আঘাতের বেশ কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতভর পিটিয়ে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা মরদেহ রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে।’

নিহত রাজার মা সাদিয়া বেগম নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় বাবু ও সুমন নামে দুই যুবক রাজাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে মোবাইলে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি জানান, রাজা মোবাইল চুরি করেছেন।

মা সাদিয়ার দাবি, এ সময় পাশ থেকে রাজাকে মারধরের শব্দ ভেসে আসছিল। তাকে স্টেশন রোড পুলিশ বক্সের পাশে আটকে রাখা হয়েছে জানিয়ে সেখানে টাকা নিয়ে যেতে বলেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি।

রাজার স্ত্রী নাহারের ভাষ্য, খবর পেয়ে স্টেশন রোড এলাকায় যান তিনি। দেখেন, সেখানে স্বামী রাজাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করছেন ছয়-সাতজন যুবক। এ সময় পানি খেতে চাইলেও তাকে পানি দেয়া হয়নি। ওই যুবকরা মোবাইলের ক্ষতিপূরণ বাবদ তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।

নাহার বলেন, ‘টাকা ব্যবস্থার জন্য আমি তাদের কাছে ১০ মিনিট সময় চাই, কিন্তু তারা রাজাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে আব্দুল্লাহপুরের দিকে চলে যায়। আব্দুল্লাহপুর নিয়ে যাওয়ার পথে এক পুলিশ কী হইছে জিজ্ঞেস করে। তার কাছে হেল্প চাইলে কেউ হেল্প করেনি।’

নাহার দাবি করেন, এ সময় তার শাশুড়িও সেখানে পৌঁছান। তখন রাজাকে দেখে তিনি চিৎকার করেন। এ সময় তিনি পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে তাকে নিয়ে বাসায় যান। বাসায় যাওয়ার পর মোবাইলে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে টাকার জন্য আরও দুবার কথা হয়। রাত ১২টার পর ওই মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে তারা মরদেহ উদ্ধারের খবর পান।

রাতে কেন পুলিশে খবর দেননি বা থানায় যাননি? জানতে চাইলে নাহার বলেন, ‘আমরা তো ভাবছি মোবাইলের ঝামেলা, টাকা দিলেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তাকে মেরেই ফেলবে তা তো আমরা বুঝি নাই।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাসিবুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহতের স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর