বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উজবেকিস্তানে কারখানা করে সার আনবে ঢাকা

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২২ ১৮:৪২

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উজবেকিস্তান কৃষিতে উন্নত। আমরাও কৃষিতে ভালো। ওরা সার উৎপাদন করে। তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভান্ডার আছে। এই গ্যাস ব্যবহার করে সার উৎপাদনের একটি প্রস্তাব এসেছে। এখন কীভাবে সেখানে সার কারখানা করে দেশে সার আনা যায় আমরা তাদের এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছি।’

উজবেকিস্তানে কারখানা করে সার ভাগাভাগি করে নেবে বাংলাদেশ। দেশটির বিপুল প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে এই সার উৎপাদন হবে। এ জন্য ঢাকাকে যৌথ বিনিয়োগ বা একক বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে তাসখন্দ।

ঢাকা সফররত দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ এ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘উজবেকিস্তান কৃষিতে উন্নত। আমরাও কৃষিতে ভালো। ওরা সার উৎপাদন করে। তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভান্ডার আছে। এই গ্যাস ব্যবহার করে সার উৎপাদনের একটি প্রস্তাব এসেছে। এখন কীভাবে সেখানে সার কারখানা করে দেশে সার আনা যায় আমরা তাদের এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছি।’

এ ছাড়া তাসখন্দে ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানা করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।

মোমেন বলেন, ‘তাদের সব ওষুধই আমদানি করতে হয়। আমি তাদের বলেছি, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এই শিল্প এখন একটি আর্টের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা ১৭০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করি। সে ক্ষেত্রে উজবেকিস্তানের ভালো সাপ্লাই লাইন হয়ে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ। এর জবাবে তারা তাদের দেশে কারখানা করার প্রস্তাব দিয়েছে।’

মোমেন বলেন, ‘উজবেকিস্তান খুব উন্নত মানের তুলা উৎপাদন করে। ইদানীং তারা নিজেরা এই তুলা ব্যবহার শুরু করেছে। আমি বলেছি, তোমরা বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। আমরা বেশি ব্যবহারকারী দেশ। আমরা এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এর জবাবে তারা সেখানে টেক্সটাইল, স্পিনিং ও গার্মেন্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি গত বছর তাসখন্দে গিয়েছিলাম। ‘সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়ান কানেক্টিভিটি অপরচুনিটি অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ সম্মেলনে। আমি সেখানে বলেছিলাম বাংলাদেশ হলো দক্ষিণ এশিয়ার কানেক্টিভিটি হাব। তোমরা কীভাবে ঢাকাকে বাদ দিয়ে কানেক্টিভিটি বাড়াতে পারো।

‘সাউথ এশিয়ায় তো আমরা কানেক্টিভিটির নেতা। তারা এখন সাউথ এশিয়া ও সেন্ট্রাল এশিয়ার মধ্যে কানেক্টিভিটি বাড়াতে চায়। তারা আমাদের লাইন ধরে বাড়াতে চায়। কাজ করতে চায়। আমি খুব আনন্দিত। আমরা নেপাল, ভুটান, ভারত, থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটা ভালো কানেক্টিভিটির সম্পর্ক তৈরি করেছি। কানেক্টিভিটি ইজ প্রডাক্টিভিটি ইন বাংলাদেশ।’

মোমেন বলেন, ‘সেবার তাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। আমি তাকেও এসব কথা জানাই। এরপর আমার একটা ডিনার ছিল। আমাদের অ্যাম্বাসেডরের বাড়িতে। সেখানে প্রেসিডেন্ট ছয় মন্ত্রীকে পাঠান। আন অ্যানাউন্সড।

‘আমি তাদের রাষ্ট্রপতিকে বলেছিলাম, উজবেকিস্তানের সঙ্গে আমাদের একটা পুরোনো ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমাদের গ্রাউন্ড রেডি আছে। কেবল কানেক্টিভিটির কারণে একটু ঢিলা হয়েছে। পিছিয়ে গেছে। তাসখন্দ আমরা ভালো চিনি। বঙ্গবন্ধু তাসখন্দে এসেছেন। এর পরই তিনি ছয় মন্ত্রী পাঠিয়েছিলেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি প্রথমে তাদের বলেছিলাম, তোমরা ঢাকায় একটি দূতাবাস খোলো। যদি এখনই তা না পারো, তবে একটি কনস্যুলেট অনন্ত খোলো। তাতে আমাদের লোকজন, ট্যুরিস্টরা অন্তত ভিসা পাবে। দ্বিতীয়ত বলেছিলাম, আগে ঢাকা-তাসখন্দ, ঢাকা-লন্ডন, ঢাকা-ইউএসএ ডিরেক্ট ফ্লাইট ছিল, সে ফ্লাইটটা চালু করো। আমি নিজেও সেই ফ্লাইটে গিয়েছি। ফ্লাইটটা ভালো ছিল। এবার তারা তাদের লোকজন নিয়ে এসেছে। বিমান-পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। সম্ভবত দ্রুত তা চালু হবে।’

তিনি বলেন, ‘দ্রুতই বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইন ভিসা বা ই-ভিসা চালু করতে যাচ্ছে উজবেকিস্তান। আজ তারা বিষয়টি জানিয়েছে।’

উল্লেখ্য, দুই দিনের সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা এসে পৌঁছেন উজবেকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ।

৩৯ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে আসা এ সফরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল, দ্বৈত কর পরিহার, কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, এলসি জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও উজবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে স্মারক সই ও সমঝোতা হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিনিধি দল সফরের শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করে।

এরপর একই হোটেলে ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন মিটিং অন ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনে অংশ নেয়। দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে এবং বেলা ৩টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে।

শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রীর।

এ বিভাগের আরো খবর