বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় ১০টি ট্রলারে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। এ সময় কমপক্ষে এক কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বঙ্গোপসাগর থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফিরে আসেন জেলেরা।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নিউজবাংলাকে ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলেদের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতি হওয়া পাথরঘাটার আবদুল্লাহর মালিকানা এফবি জুনায়েদ ও আলম মোল্লার মালিকানা এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের নাম পাওয়া গেছে।
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার করে ফেরার পথে ৩০ জনের একটি দল অস্ত্রসহ ট্রলারে ওঠে জেলেদের জিম্মি করে ৮ লাখ টাকার মাছ, দুটি মোটর, দুটি সেল্ফ, তিনটি ব্যাটারি, এক হাজার লিটার জ্বালানি তেলসহ জেলেদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন পিটিয়ে ভেঙে বিকল করে রেখে যায়।
এ সময় বাধা দিলে জেলেদের পিটিয়ে আহত করে ডাকাতরা। তাদের মধ্যে গুরুতর মিরাজ, খোকন, মন্টু ও শাহজাহানকে বেলা ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ নামের এক ট্রলারের মাঝি জানান, সাগরে ওই ডাকাতদল অন্তত ১০টি ট্রলারে ডাকাতি করে জেলেদের মারধর করে। মাছসহ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ ও জ্বালানি তেল লুটে নিয়েছে তারা।
এদিকে এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা বলেন, ‘আমার ট্রলারে অস্ত্রসহ ডাকাতরা ডাকাতি করে অন্তত ১২ লাখ টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায়, এ সময় মাঝি মো. হোসেনসহ কিছু জেলেরা বাধা দিলে হোসেন মাঝিকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলারের তথ্য পেলেও ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন অন্তত ১০টি ট্রলার ডাকাতি করে মাছ ও মালামাল লুট হয়েছে। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ বিষয় র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোমিন বলেন, ‘আমরা এখনো ডাকাতির খবর পাইনি। জেলেদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’