বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউনিয়ন আ.লীগ নেতাকে ‘বিবস্ত্র করে মারধর’ 

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২২ ০৮:৪০

মিরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ঘটনা কিছু একটা ঘটেছে সেটি নিশ্চিত, তবে বিবস্ত্র করার প্রমাণ এখনও পাইনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রানাসহ ১১ জনকে আসামি করে বুধবার রাতে মামলা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

নাছির মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। মামলায় গত ১৭ জুলাই দুপুরে মারধরের ঘটনার কথা উল্লেখ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানা, ইমাম হোসেন শেখ, শাখাওয়াত হোসেন, সাঈদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, আবদুর রউফ, এমজাদ হোসেন আয়েচ, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও নুরের ছাপা। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, নাছির উদ্দিনের ওয়ারিশী সম্পত্তি কিনতে রানা দীর্ঘদিন ধরে তাকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। নাছির তার সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় রানা তাকে একাধিকবার হুমকিও দিয়েছেন। গত ১৭ জুলাই দুপুরে রানার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক স্থানীয় হাদি ফকিরহাট বাজারে গিয়ে নাছিরকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করে।

একপর্যায়ে তার হাত বেঁধে টেনেহিঁচড়ে বাজারের দক্ষিণ পাশে পরিত্যক্ত একটি করাতকলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

সেখানে একটি খুঁটির সঙ্গে নাছিরকে বেঁধে বিবস্ত্র করে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন আসামিরা। পৌনে এক ঘণ্টা নির্যাতনের পর তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়া হয়।

এ সময় নাছিরের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে নাছিরকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা নাছির উদ্দিন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় তার রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ শুরুতে মামলা নেয়নি। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে বিষয়টি জানালে তার নির্দেশে মামলা নেয় পুলিশ।’

মামলা না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মিরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযোগকারী থানায় আসেননি। আমরা তাকে মামলা করার অনুরোধ করেছিলাম। তিনি মামলা করবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নিতে সময় ব্যয় করেছেন।

‘এখন মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ঘটনা কিছু একটা ঘটেছে সেটি নিশ্চিত, তবে বিবস্ত্র করার প্রমাণ এখনও পাইনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে মামলার প্রধান আসামি মাইনুর ইসলাম রানাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি। পরে এসএমএস করলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর