চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ‘ধূমপান করায়’ ষষ্ঠ শ্রেণির তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।উপজেলার সরকারি মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল মালেকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, (বাক্য রীতি অপরিবর্তিত) এতদ্বারা সকল ছাত্র, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ২৬-০৭-২০২২ খ্রি. তারিখের বিজ্ঞপ্তি নং-৩১ এর অনুচ্ছেদ-২ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিম্নলিখত শিক্ষার্থীবৃন্দ ধূমপান করায় এবং প্রমাণিত হওয়ায় শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।
ভবিষ্যতে সংশোধন হলে অভিভাবকের স্বীকারোক্তি সাপেক্ষে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট সত্য বলে প্রতিয়মান হলে শ্রেণিতে প্রবেশের ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ওই তিন ছাত্রের নাম, শাখা ও রোল নম্বরও উল্লেখ করা হয়। তবে তাদের বয়স ১৮-এর নিচে হওয়ায় তা প্রকাশ থেকে বিরত থাকল নিউজবাংলা।
তবে ওই বিজ্ঞপ্তির একটি কপি ফেসবুক ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, এভাবে ছাত্রদের নাম প্রকাশ করা একদম উচিত হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, বহিষ্কার না করে শিক্ষার্থীদের আরো কাউন্সিলিং করা যেত। সবচেয়ে বড় বিষয় এভাবে শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসায়, তারা মানসিকভাবে অনেকটা চাপের মধ্যে পড়বে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আরেকটু দ্বায়িত্বশীল হতে পারত।
তিন ছাত্রকে বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তি কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলো এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক সাইফুল মালেক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকই তা পোস্ট করেছিলেন। তবে আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাকে সেই পোস্ট ডিলিট করতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে ছড়িয়ে পড়বে এটা তো আগে বুঝতে পারেনি। আর ওই তিন ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষ পাঠদান থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা যদি ভালো হয়ে যায়, তাদের অভিভাবকরা যদি এসে বলেন, আমরাও যদি দেখি তারা ভালো হয়ে গেছে। তাহলে তাদের আবারও শ্রেণিতে যুক্ত করে নেয়া হবে।’
তাদের কাউন্সিল করা হয়েছিল কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওতো কিছু উত্তর দিতে পারব না।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর আবার ফোন দেয়া হলে, তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন।