বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারপ্রার্থীরা আস্থা হারালে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে: প্রধান বিচারপতি

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ২৩:০৩

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, নানা কারণে বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা বেড়েছে। আমাদের সচেতনতা, কর্মনিষ্ঠা মামলা জট কমাতে পারে। হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পেয়ে দ্রুত যাতে বাড়ি ফিরতে পারে সেটা ভাবতে হবে।’

দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর বিচারপ্রার্থী মানুষ যাতে আস্থা না হারায় তা আইনজীবীদের ভাবতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, বিচার ব্যবস্থার ওপর বিচারপ্রার্থীরা আস্থা হারালে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আর তাহলে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ঢাকাস্থ খুলনা বিভাগীয় আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, নানা কারণে বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা বেড়েছে। আমাদের সচেতনতা, কর্মনিষ্ঠা মামলা জট কমাতে পারে। হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পেয়ে দ্রুত যাতে বাড়ি ফিরতে পারে সেটা ভাবতে হবে।’

হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন বিষয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘বেঞ্চ গঠন করতে গেলে আমাকে অনেক কিছু মনে রাখতে হয়। এখনও কজ লিস্টে (মামলা তালিকা) আশির দশক, নব্বই দশকের মামলা চলে আসে। দেখা যায় অনেক মামলা ৪০ বছর ধরে পেন্ডিং রয়েছে।

‘মানুষ বিচারের আশায় আদালতে কতদিন ঘুরবে? এভাবে ঘুরতে ঘুরতে যদি এক সময় বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষ অনাস্থা প্রকাশ করে বলে যে এই দেশে বিচার নেই, তাহলে সেটাকে কি অন্যায় বলা হবে?’

করোনার সময় বেশ কয়েকজন বিচাররক অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেঞ্চ গঠনে বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাইকোর্ট বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আশা করি আমরা কিছুদিনের ভেতরেই নতুন বিচারক পাব। তখন হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়বে।

‘মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য যেভাবে বেঞ্চ গঠন করলে ভালো হয়, সেটাই আমি করার চেষ্টা করি।’

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আইনজীবীদের জায়গা সংকটের পাশাপাশি আমি মনে করি যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে বিচারের আশায় উচ্চ আদালতে আসেন তাদেরও বসার জায়গা করা দরকার। এজন্য আমি যখন শপথ নেই, তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারপ্রার্থীদের জন্য সব আদালত এলাকায় বসার জায়গা করার জন্য শেড নির্মাণের অনুরোধ করি। তিনি তাৎক্ষণিক রাজি হয়ে যান।

‘তারপরও কথা হলো, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো জায়গার। আমাদের এখন যতটুকু জায়গা আছে তার মধ্যে আগামী ১০০ বছরের প্ল্যান করতে হবে।’

আইনজীবীদের ভবন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। এজন্য আপনাদের জন্য যতটুকু আমার করার আছে সেটুকু করবে।’

সমিতির সভাপতি মো. এহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমির উল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি মোহাম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার, বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সারোয়ার জাহান বাদশা, সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও ইমাম হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর