রাজধানীতে বিকাশ পরিবহনের চলন্ত বাসে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মাহবুবুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হেলপার পলাতক।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর শুনানি শেষে আসামি মাহবুবকে জিজ্ঞাসাবাদে এক দিনের রিমান্ড দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাসচালক মাহবুবুর রহমানকে। পরে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আছিবুজ্জামান আসিফ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী নুরুল নবী। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড দিয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২৪ জুলাই রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর যেতে বাসে ওঠেন এক ছাত্রী। বিকাশ পরিবহনের বাসটির সিটে বসে ছাত্রী কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত সোয়া ৯টার দিকে ছাত্রী বুঝতে পারেন তার শরীরে কেউ হাত দিয়েছেন। তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই, তার পাশের সিটে বসে আছেন বাসের হেলপার। বিপদ আঁচ করতে পেরে বাসের হেলপারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ছাত্রী বাস থেকে নামার চেষ্টা করেন। তখন হেলপার পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরেন। ছাত্রী নিজেকে রক্ষার জন্য চিৎকার করেন এবং চালককে বাস থামাতে বলেন।
চালক বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাস কিছুটা গতি কমালে ছাত্রী লাফ দেন। আত্মরক্ষার পর ছাত্রী ঘটনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
চলন্ত বাসে ছাত্রী লাঞ্ছনার এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া হলে লালবাগ থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধানে নামে। পুলিশ ভিকটিমকে খুঁজে বের করার পাশাপাশি বিভিন্ন সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ বিকাশ পরিবহনের বাস ও চালককে শনাক্ত করে। বুধবার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চালক মাহবুবকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।