বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও না-ভোটের দাবি সিপিবির

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ২০:৪৯

সংলাপে না যাওয়ার কারণ হিসেবে সিপিবি বলেছে, ‘নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণপত্রে ইভিএম ব্যবহারকে প্রশ্নাতীত করে তোলা হয়েছে। অথচ ইভিএম ব্যবহারে অধিকাংশ অংশীজন একমত হননি। ইসির এই মতবিনিময় অন্যদের কথা শোনা ও নিজেদের কথা গেলানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রার্থীর প্রচারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নেয়া, ‘না’ ভোট চালু, জনপ্রতিনিধি প্রত্যাহারের বিধান, নির্বাচনকে টাকা-পেশিশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িক প্রচারমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া এখনকার বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ জন্য নির্বাচনকালীন সরকার যেন কোনো প্রকারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকাও অপরিহার্য।

অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সংবাদ সম্মেলনে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে দলটি- স্বাধীন, দক্ষ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন; নির্বাচনকালীন সরকার; নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো।

ওই চারটি বিষয়ে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার এবং ওই সরকারের কাজের বিষয় সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করার দাবি জানানো হয়। নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ারও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি শাহ্ আলম ও সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।

উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম, এ এন রাশেদা, শাহীন রহমানসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক বিধিবিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া, দলের কমিটি গঠনে নিয়মিত নির্বাচন, দলের আর্থিক বিবরণ নির্বাচন কমিশনকে দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। এসব বিষয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা ও কোনোরূপ লঙ্ঘনের ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

নির্বাচনি আচরণবিধিতে যা রয়েছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সে জন্য অঙ্গীকার ও সহযোগিতা দিতে হবে। কমিশনকে সহযোগিতা দেয়ার জন্য কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নারী আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানানো হয়।

প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন-প্রার্থী হতে হলে তাকে কমপক্ষে ৩ বছর দলের সদস্যপদ নিয়ে এবং জনগণকে অবহিত রেখে দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে।

স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বা যুদ্ধাপরাধী হলে, নিজে অথবা পরিবারের কেউ ঋণখেলাপি কিংবা ঋণখেলাপির জামিনদার হলে, কালো টাকার মালিক বলে বিবেচিত হলে, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ অথবা চাকরিচ্যুতির ৩ বছর অতিক্রম না করলে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রেও এই বিধি প্রযোজ্য হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট ছিনতাই ও টেম্পারিং সম্ভব। কোনো ধরনের জালিয়াতি বা আপত্তি উঠলে ভোট পুনর্গণনার সুযোগ নেই। সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনে না যাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, ‘প্রথমত, এ ধরনের মতবিনিময়ে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো যুক্তিযুক্ত হতো বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশন এটা করেনি।

‘দ্বিতীয়ত, আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা রয়েছে, যা সময়ের সঙ্গে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় ইভিএমসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।

‘কমিশনের এসব কথার মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় আইনের বিধিবিধান ও ইভিএম ব্যবহারকে প্রশ্নাতীত করে তোলা হয়েছে। অথচ ইভিএম ব্যবহারে অধিকাংশ অংশীজন একমত হননি।

‘আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এই মতবিনিময় নিছক অন্যদের কথা শোনা ও নিজেদের কথা গেলানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর