বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে লাভ অস্ত্র উৎপাদকদের, বিপন্ন সাধারণের জীবন

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ১৭:২৬

‘এই যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ উন্নত হওয়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে, তারা এই যুদ্ধের কারণে চরম বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। তবে আমাদের অগ্রগতি বন্ধ করা উচিত নয়।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে পুরোপুরি অর্থহীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দেখছি শুধু অস্ত্র উৎপাদনকারীরা মুনাফা করছে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন।’

তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ উন্নত হওয়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে, তারা এই যুদ্ধের কারণে চরম বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টেনিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। তিনি চট্টগ্রামে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও এখন খাদ্যনিরাপত্তায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। জ্বালানি তেল সাশ্রয়ে সব দেশই নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং আমরাও তা অনুসরণ করছি।’

করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শুরু থেকেই ইউক্রেনের পাশে অবস্থান নিয়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়া আবার ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ সীমিত করেছে, যা আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমৃদ্ধ মহাদেশটিতে।

এই যুদ্ধের পর সারা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল। খাদ্যের বিশ্ববাজারে সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ার উপক্রম, জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা। দাম ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার কারণে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর রিজার্ভে পড়েছে চাপ। দেশে দেশে ঘটছে মুদ্রার অবমূল্যায়ন। আর এতে বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ‍হুমকি। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ উন্নত হওয়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে, তারা এই যুদ্ধের কারণে চরম বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। তবে আমাদের অগ্রগতি বন্ধ করা উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোও গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তারা এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সাশ্রয় করতে শুরু করেছে, তারা খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়া নিয়েও কথা বলেন। তার মতে, এটা আতঙ্কের কিছু নেই। তিন মাসের রিজার্ভই যথেষ্ট, কিন্তু দেশে আছে অনেক বেশি।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে জোর দেয়ার তাগিদও দেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য নতুন নতুন বাজার খোলার পরামর্শ দেন।

ভোগ সীমিত করার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদও দেন শেখ হাসিনা। জোর দেন প্রশিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানির ওপর।

এ বিভাগের আরো খবর