ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ইউপি ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সহিংসতায় শিশু নিহতের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মাহাবুব রহমান বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিউজবাংলাকে কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি সহিংসতায় শিশু নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাম কৃষ্ণ বর্মণকে প্রধান করে রাতেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ ও জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম।
‘আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিশুর বাবা-চাচা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গুলি চালালে শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি বেল মার্কেটে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মঈনুদ্দিন তালুকদারসহ কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, বিকেলে ফল ঘোষণার পর জয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাদের নিয়ন্ত্রণে যায় থানা পুলিশ। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে বাজারের একটি দোকানের সামনে থাকা মায়ের কোলের শিশুটির মাথায় গুলি লাগে। শিশুটির বয়স দুই বছর।
শিশুর বাবা মো. বাদশা প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন, মা পাগলপ্রায়। শিশুর চাচা আবু বক্কর সিদ্দিক নিউজবাংলাকে জানান, শিশুটির নাম আশা। পুলিশের গুলিতে সে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তার মাথার খুলি উড়ে গেছে।
পরে থানা ঘেরাও করে স্থানীয়রা শিশুর মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে। তাদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়েছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মরদেহ থানার সামনে রেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।