নির্ধারিত সময়ের ১৮ দিন আগেই দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই এই খনি পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে। এতে প্রতিদিন ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উত্তোলন হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খনির নতুন কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পেট্রোবাংলার চেয়্যারম্যান নাজমুল হাসান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই উত্তোলনকাজের উদ্বোধন করেন। ফলে গত ২ মাস ২৮ দিন পর এই কয়লা খনিতে আবার উৎপাদন শুরু হলো।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ১৩১০ নম্বর কূপে খনির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরে কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পরিত্যক্ত কূপের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬ নম্বর কূপ থেকে কয়লা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
এ সময় বলা হয়েছিল, নতুন কূপ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলনে সময় লাগবে প্রায় আড়াই মাস। পরে আগস্টের মাঝামাঝিতে কয়লা উত্তোলনের সময়ও নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার।
সাইফুল বলেন, ‘আমাদের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে উৎপদন শুরুর পরিকল্পনা ছিল। তবে জাতীয় সংকট মোকাবিলা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের নির্দেশ ছিল- যত দ্রুত সম্ভব কয়লা উত্তোলন করার।
‘সেই নির্দেশনা মোতাবেক চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচেষ্টায় উত্তোলনের সময় ২০ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।’
তিনি জানান, বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন চলছে। মাটির নিচে যন্ত্রপাতি বসিয়ে ট্রায়াল দেয়া হচ্ছে। উৎপাদন শুরুর পর কিছু রক্ষণাবেক্ষণেরও কাজ আছে। তাই পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হতে আরও চার-পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে, এখান থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। বর্তমানে সংক্ষিপ্ত আকারে উত্তোলন হচ্ছে। এই ফেজে কয়লা মজুত আছে চার লাখ টন। আর বর্তমানে উত্তোলন করা কয়লার মজুত আছে ৪০ হাজার টন।’