দেশে মোট পানির উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় গভীর বা অগভীর টিউবওয়েলের পানি। এর পরিমাণ ৮৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে সরবরাহ এবং পুকুর, নদী, খাল ও লেকের পানি।
বোতলজাত পানির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় খুলনায়, ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। বৃষ্টির পানি জমিয়ে খাবার পানি হিসেবে ব্যবহারেও শীর্ষে রয়েছে খুলনা, ৩ দশমিক ০২ শতাংশ। আর ঝরনার পানি পানে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম, দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনশুমারির এই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
খাবার পানির প্রধান উৎস জরিপে বলা হয়, ‘দেশে গভীর/অগভীর টিউবওয়েলের পানি পান করেন ৮৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী। এছাড়া সরবরাহ করা পানি পান করেন ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, বোতলজাত পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ, কূপের পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ, পুকুর/নদী/খাল/লেকের পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ, ঝরনা/ছড়ার পানি পান করেন শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ, বৃষ্টির পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ এবং অন্যান্য উপায়ে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ মানুষ পানি পান করেন।’
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গভীর বা অগভীর টিউবওয়েলের পানি পানের শীর্ষে রয়েছে রংপুরের মানুষ, ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সরবরাহ ট্যাপ বা পাইপের পানি পান করে ঢাকা বিভাগে বেশি, ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
খাবার পানি হিসেবে পুকুর, নদী, খাল ও লেকের পানি বেশি পান করে সিলেটের মানুষ, ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কুয়ার পানি পানেও শীর্ষে রয়েছে এই অঞ্চল, ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।