বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুলবুল হত্যা: সেই ছাত্রী কললিস্ট ডিলিট করেন ‘ভয়ে’

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২২ ২০:৩৪

ছাত্রীর মোবাইল ফোন কললিস্ট উদ্ধার করে তা পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে ওই ছাত্রীর মোবাইলে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যার পর তার কথিত প্রেমিকা জড়িত কি না তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। বাংলা বিভাগের মেয়েটির আচরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সহপাঠীরাও। বিশেষ করে কাউকে কিছু না বলে তার হাসপাতাল থেকে চলে আসা ও নিজের মোবাইল ফোনের কললিস্ট মুছে দেয়ায় সন্দেহ বাড়ে পুলিশেরও।

এই সন্দেহ থেকেই ওই ছাত্রীকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় তারা। ওই ছাত্রীর এক বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তবে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, ছিনতাই করতেই বুলবুলকে হত্যা করা হয়। হত্যায় ওই ছাত্রীর সম্পৃক্ততা এখনও পাওয়া যায়নি।

পুলিশের এমন ভাষ্যের পর প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কেন অস্বাভাবিক আচরণ করলেন ওই ছাত্রী? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন করা হয় তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদেরও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় সোমবার ছুরিকাঘাতে আহত লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমদ পরে হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকেই বারবার মূর্ছা যেতে থাকেন মেয়েটি। অসুস্থ অবস্থায় তাকে নগরের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তবে মঙ্গলবার ছাড়পত্র না নিয়ে এবং কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। পরে তাকে ক্যাম্পাসে পাওয়া যায়।

কেন ওই তরুণী এভাবে হাসপাতাল ছেড়ে ছিলেন এমন প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ওই ছাত্রী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি শুনেছিলেন তখন বুলবুলের মরদেহ ক্যাম্পাসে আনা হবে। বুলবুলকে এক নজর দেখতে তিনি হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে চলে আসেন। বলেন, যদি আসতে না দেয় তাই তিনি কাউকে কিছু না বলেই চলে আসেন।’

পুলিশের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন জানান, নিজের মোবাইল ফোনের কললিস্ট মুছে ফেলেছেন বুলবুলের কথিত প্রেমিকা।

এ বিষয়েও ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে আজবাহার বলেন, ‘ভয়ে কললিস্ট মুছে ফেলেছেন বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন। এর পেছনে অপরাধমূলক কোনো উদ্দেশ্য আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি।’

ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন কললিস্ট উদ্ধার করে তা পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে ওই ছাত্রীর মোবাইলে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

এই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জিম্মায় হলেই আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই বুলবুলকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররাও এমনটি জানিয়েছে। তবে অধিকতর তদন্তে অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করেন কামরুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে আবুল হোসেন ও মো. হাসান ছিলেন। তাদের সবার বাড়ি টিলাগাঁও এলাকায়।’

এর আগে সকালে কামরুলের বাড়ি থেকে বুলবুলের মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।

বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর