দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে দায়িত্ব পালনের সময় মেরুদণ্ড বাঁকা বা নতজানু নয়, সোজা রাখার চেষ্টা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সংলাপ শেষে আপনাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে সরকার ও সবার কাছে পৌঁছে দেব।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সময় পাল্টে গেছে। তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির দায়িত্ব নিতে হবে। রাজনীতি থেকে গণতন্ত্রের বিস্তার হয়েছে। আর গণতন্ত্র নির্বাচনের জন্ম দিয়েছে।
‘আমি মনে করি আপনারা যারা দেশের রাজনৈতিক নেতা, আপনাদের প্রতি আমাদের যে আস্থা, সম্মান ও ভরসা, সেটা যেন অক্ষুণ্ন থাকে। আমরা আমাদের সীমিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করব।’
নির্বাচনকালে সংবিধান, আইন ও বিধিবিধানের আলোকে ইসি ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, সরকারও সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করি।’
সংলাপে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও তার দলের ১৭ জন নেতা অংশ নেন। অপরপক্ষে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ভোটের দেড় বছর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। এ লক্ষ্যে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দল ইসির এ সংলাপ বর্জন করেছে।
নবম দিনে এসে ৩২টি দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ‘না’ করে দেয়ায় বুধবার পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেয়া দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২টি। সংলাপ বর্জন করেছে ৮টি রাজনৈতিক দল। আরেকটি দল সময় বাড়ানোর অনুরোধ করছে। এরপর আরও ৭ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপে বসার কথা রয়েছে, যা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।