বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুকুরে বস্তাবন্দি কিশোরী, হোতার স্বীকারোক্তি

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২২ ১৮:৫২

কিশোরীর বাবা মমিন মিয়া বলেন, ‘আমার অবুঝ মেয়েটারে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। এটার উপযুক্ত বিচার চাই।’

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে কিশোরীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল-আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাকাকুড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।

বুধবার বেলা ১১টায় শেরপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যব-১৪-এর স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

এর আগে গত রোববার উপজেলার পূর্ব বাকাকুড়া গ্রামের আবু সাঈদের পুকুর থেকে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া আদর্শ গুচ্ছগ্রামে। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই এর রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

র‌্যাব-১৪-এর স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, স্বীকারোক্তি অনুযায়ী- গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আল-আমিন ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বাকাকুড়া এলাকার কালঘোষা নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা সবাইকে বলে দেয়ার কথা বললে কিশোরীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। এ অবস্থায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহটি বস্তাবন্দি করে পার্শ্ববর্তী সাঈদ মিয়ার পুকুরে নিয়ে ফেলে রাখে।

র‌্যাবের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আল-আমিনকে দ্রুততম সময়ে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান স্কোয়াড্রন লিডার আশিক।

তিনি আরও জানান, নদীর তীরে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটলেও মরদেহটি আল-আমিন সাঈদ মিয়ার পুকুরে এনে ফেলে। কারণ সাঈদের সঙ্গে কিছুদিন আগে অটোর ভাড়া নিয়ে তার দ্বন্দ্ব হয়। সাঈদকে ফাঁসানোই ছিল তার ‍উদ্দেশ্য। আল-আমিন পেশায় অটোচালক।

ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা মমিন মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঘটনার দিন রাতেই ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা করেছিলেন। পরে ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৪।

কিশোরী সম্পর্কে তার বড় বোন বলেন, ‘সে কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। মাঝেমধ্যে সে বাড়ি থেকে বিভিন্ন স্থানে চলে যেত। এক-দুই দিন পর ফিরে আসত। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বিকেলে তাকে এভাবে পাব ভাবিনি। আমার বোন অবুঝ ছিল। আমার বোনের হত্যাকারী আল-আমিনের ফাঁসি চাই।’

কিশোরীর বাবা মমিন মিয়া বলেন, ‘আমার অবুঝ মেয়েটারে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। এটার উপযুক্ত বিচার চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর