মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা দায়ে আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বুধবার বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য।
নিহত ফিরোজা আক্তার ছিলেন আসামি মিরাজ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। মিরাজের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের লক্ষীদিয়া এলাকায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) মথুরনাধ সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিকভাবে ফিরোজার সঙ্গে মিরাজের বিয়ে হয়। তবে প্রথম স্ত্রীকে ফের বিয়ের করার জন্য ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ রাতে ফিরোজাকে তিনি শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
মরদেহ উঠানের নিচে ফেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানান, ফিরোজাকে পাওয়া যাচ্ছে না। উঠানের ঝোঁপ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফিরোজার পরিবার।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে নিহতের বাবা শামসুল দর্জি মিরাজ মিয়াকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
দৌলতপুর থানার তৎকালীন এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু তালেব তদন্ত শেষে মিরাজকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেন। ১২ জনের স্বাক্ষ্য নেয়া শেষে আদালত এই রায় দেয়।