নাটোরের হরিশপুরে তরকারিতে তেল বেশি দেয়ার অজুহাতে কুপিয়ে স্ত্রীর দুই হাতের আঙুল কেটে দেয়ার মামলায় স্বামীসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জেলার হালসা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকা থেকে বুধবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল হাই ও রাব্বি মিয়ার বাড়ি জেলার বড় হরিশপুর এলাকায়।
র্যাব-৫-এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রায় এক যুগ আগে আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে মুক্তি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের এক কন্যা ও পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আব্দুল হাই যৌতুকসহ নানা কারণে মুক্তির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জুলাই আব্দুল হাই তরকারিতে তেল বেশি দেয়ার অজুহাতে মুক্তিকে হত্যার উদ্দেশে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মুক্তির দুই গালে ও বাম চোখের কোনায় কোপ লাগে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে তার বাম হাতের চারটি এবং ডান হাতের তিনটি আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় মুক্তির ভাই বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা করেন। এজাহারে ওই ঘটনা ঘটাতে আব্দুল হাইকে তার মামাতো ভাই রাব্বি পরামর্শ দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হাই ও রাব্বি মিয়া ওই নারীকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনসহ হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের নাটোর সদর থানায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আক্রান্ত নারীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেজা উন নবীর সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা। তিনি জানান, মুক্তির হাতের আঙুলের অবস্থা খুবই খারাপ। সাতটি আঙুল কর্তনের পাশাপাশি একটা হাত ভেঙে গেছে। চিকিৎসা চলছে।