বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবিবাহিত বেশি সিলেটে, কম রাজশাহীতে

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২২ ১৫:৪৪

জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যার ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বিবাহিত৷ আর ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত। অবিবাহিত নারী-পুরুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে।

দেশে ১০ বছর থেকে বেশি বয়সী জনসংখ্যার মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে।

সারা দেশে অবিবাহিতদের গড় হার ২৮ দশমিক ৬৫ হলেও সিলেটে এটি ৩৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বিয়ে করেননি এমন নারী-পুরুষের হার সবচেয়ে কম রাজশাহীতে। এরপরই অবস্থান খুলনা ও বরিশালের।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানী ঢাকায় অবিবাহিত নারী-পুরুষের হার ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এরপর ময়মনসিংহ ও রংপুরের অবস্থান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে নতুন সংসার ও বিবাহিতদের আনুপাতিক হারের দিক দিয়ে এগিয়ে রাজশাহী বিভাগ। সেখানে ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষ বিবাহিত। অপরদিকে সংসার ভাঙা ও বিয়েবিচ্ছেদের দিক দিয়ে এগিয়ে খুলনাবাসী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বিবাহিতদের গড় ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। জাতীয় গড়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৩১ শতাংশ বিবাহিত রয়েছে রাজশাহীতে। অল্প ব্যবধানে দ্বিতীয় অবস্থানে খুলনা। এর পরের অবস্থানে থাকা রংপুর, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম রয়েছে জাতীয় গড়ের ওপরে।

অন্যদিকে বিবাহিতদের জাতীয় গড়ের চেয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে সিলেট। সেখানে নতুন সংসার পাতার হার ৫৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

খুলনাবাসীর মধ্যে নতুন সংসার পাতার প্রবণতা বেশি থাকলেও বিপরীত দিকে বিয়েবিচ্ছেদের দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন তারা। সেখানে বিচ্ছেদের হার শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ। সংসার ভাঙার ক্ষেত্রে জাতীয় গড় হচ্ছে দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বিয়েবিচ্ছেদ সবচেয়ে কম পছন্দ করেন বরিশালের মানুষ। সেখানে সংসার ভাঙার হার দশমিক ৩১ শতাংশ। চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেটের বাসিন্দাদের অবস্থান এর পর।

জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যার ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বিবাহিত৷ আর ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

এতে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী ও ১২ হাজার ৬২৯ জন ট্রান্সজেন্ডার।

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে ক্রমেই নারীর বিপরীতে কমছে পুরুষের সংখ্যা। জনশুমারির হিসাবে দেশে এখন ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের অনুপাত ৯৮।

এ বিভাগের আরো খবর