দুদকের মামলায় টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রী কোন ধারায় কী সাজা পেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংস্থার আইনজীবী।
রায় ঘোষণার পর দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক নিউজবাংলাকে জানান, দুদকের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি আইনের ৫টি ধারায় দণ্ড পেয়েছেন তারা।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় চুমকি করণের ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড। এই ধারায় ওসি প্রদীপকে খালাস দেয় আদালত। একই আইনের ২৭ (১) ধারায় দুজনের ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় দুজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় দুজনের ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেয়া হয়। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের জেল দেয় আদালত।
তা ছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(৩) ধারায় আদালত তাদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত বুধবার দুর্নীতি দমন মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘অভিযোগপত্র গঠনের পর আদালত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।’
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালতে তোলা হয় প্রদীপ ও তার স্ত্রীকে।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পান ওসি প্রদীপ। এ বছরের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ রায় দেয়।