বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লোকালয়ে আসা হনুমানকে বিরক্ত না করার আহ্বান

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২২ ১৪:০৯

রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান বলেন, ‘হনুমানটি টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে ওই এলাকায় গেছে। কারণ আনারস ও কলা ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়। কোনো ট্রাকে করে আসতে পারে এটি। সে ক্ষতি করবে না। কিছুদিন পর আবার সে তার এলাকায় ফিরে যাবে, তাই এটিকে বিরক্ত করা যাবে না। আমরা হনুমানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।’

নীলফামারী শহরের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিন ধরে একটি হনুমানের দেখা মিলছে। উৎসুক মানুষের ভয়ে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে এটি।

বনবিভাগের ধারণা, ট্রাকে করে এই এলাকায় চলে এসেছে হনুমানটি। যথাসময়ে নিজ গন্তব্যে ফিরবে জানিয়ে এটিকে বিরক্ত না করার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বেশ কিছুদিন ধরে এটিকে শহরের গাছবাড়ি, কৃষি ফার্ম, মিলনপল্লী, হাড়োয়া, পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় দেখা গেছে। সবশেষ দেখা গেছে নীলফামারী সরকারি কলেজ এলাকায়।

গাছবাড়ি এলাকার আব্দুল ওয়াহেদ সরকার বলেন, ‘প্রায় ১৫ দিন আগে আমার এলাকায় হনুমানটির দেখা মিলে। একটি মোবাইল ফোনের টাওয়ারে অবস্থান নেয়।

‘আমরা অবশ্য ভাত, কলা খেতে দিয়েছিলাম। খেয়ে আবারো টাওয়ারে অবস্থান নিতে দেখা যায়। সেখান থেকে আবার অন্যত্র চলে যায়।’

মিলনপল্লী এলাকার আব্দুল খালেক বলেন, ১০/১২দিন আগে বিকেলে আমাদের পাড়ায় দেখা যায় হনুমানটি। উৎসুক মানুষ ভিড় করলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে এটি।’

হনুমানটিকে আগের দিন সকালে কৃষি ফার্ম এলাকার একটি কদম গাছে অবস্থান নিতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দা আইনুল হক। সেখানে থেকে নেমে চলে যায় পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার দিকে। আইনুল বলেন, ‘হনুমানটিকে কাউকে ক্ষতি করতে দেখিনি। তবে কুকুর দেখলে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি শুরু করে।’

সবশেষ নীলফামারী সরকারি কলেজ এলাকায় দেখা মেলে হনুমানটির। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুল করিম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ এলাকার একটি দেয়ালে বসে থাকতে দেখা গেছে তাকে। সেটিকে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন।’

যেহেতু সে আমাদের ক্ষতি করছে না, সে হিসেবে সংরক্ষণ করার সুযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষ সেটি করতে পারে।

সুযোগ থাকলে এটিকে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হনুমানটি তার স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছে না। এক সময় হয়তো মারা যাবে, অথবা কেউ এটিকে মেরে ফেলতে পারে।’

রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকা থেকে ট্রাকে করে ওই এলাকায় আসতে পারে হনুমানটি। কারণ আনারস ও কলা ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়। সে ক্ষতি করবে না।’

হনুমানটিকে বিরক্ত না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পর আবার সে তার এলাকায় ফিরে যাবে, তাই এটিকে বিরক্ত করা যাবে না। আমরা হনুমানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর