নেত্রকোণার মদনে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মামলার পর উপজেলার বাশরী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার বাশরী গ্রামের ইজিবাইকচালক রাব্বি মিয়া ও একই গ্রামের অন্তর।
ওসি জানান, উপজেলার মদন-কেন্দুয়া সড়কের কাইটাইল বাজার এলাকায় গত ২০ জুলাই রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ‘ভুক্তভোগী’ কিশোরীর বাবা পাঁচজনের নামে থানায় মামলা করেন।
রাব্বি মিয়া ও অন্তর ছাড়া বাকি তিন আসামি হলেন একই গ্রামের সারু মিয়া, বাছির মিয়া ও শাহানুর মিয়া।
এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার মা ও বোনদের সঙ্গে নানার বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। কাইটাইল বাজারের কাছে তারা নামেন। ওই কিশোরীকে রাস্তার এক পাশে রেখে অন্য পাশে চালককে ভাড়া দিতে যান তার মা। এ সময় অন্য একটি ইজিবাইকে উচ্চ আওয়াজে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে তাকে তুলে নিয়া যান পাঁচ যুবক।
বাররী গ্রামের সেলিম মিয়ার ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সকালে পালিয়ে যান তারা। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে তাদের কাছে তুলে দেন স্থানীয়রা।
মদন থানার ওসি বলেন, ‘মেয়েটিকে বুধবার শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ আদালতে তোলা হবে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’