সাম্প্রতিক সময়ে শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তিতে আসক্তি আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। দেশে ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সসীমায় মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ মানুষের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন রয়েছে।
মোবাইল ব্যবহারে লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ নারী রয়েছে।
১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ পুরুষের ও ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ নারীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন রয়েছে।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে নিজের ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে এমন জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে।
শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তিতে আসক্তি করোনাকালীন সময় ঘরবন্দি জীবনে তা আরও তীব্র হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের প্রতি ঘরে শিশুদের আরও সময় দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা শিশুদের পূর্ণ বিকাশে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের প্রতি ঝোঁক কমিয়ে আনার কথা বলে আসছেন সব সময়ই। তবে এখন এসব পরামর্শ মেনে চলতে পারছেন না বেশির ভাগ অভিভাবকই।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তারেক আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার যতটা সম্ভব দূরে রাখাই ভালো। এগুলো তাদের কল্পনাশক্তিকে সীমিত করে ফেলে। এ ছাড়া চোখ ও মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করে।
‘এখন তো ক্লাসও হচ্ছে অনলাইনে। ফলে পুরোপুরি প্রযুক্তি সামগ্রী থেকে দূরে রাখা যাবে না। তবে যতটা সম্ভব যাতে কম ব্যবহার করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
ইন্টারনেট ব্যবহার
২০২২ সালের গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে মোট ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এবং ১৮ বছর থেকে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ জনসংখ্যা ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়, গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে এমন জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম রংপুর বিভাগে।