সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুলবুল হত্যার ঘটনায় আটক কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় তার বাড়ি থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। এই ছুরি দিয়েই বুলবুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার উত্তর আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, ‘বুলবুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসেট ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।’
কামরুল ইসলামের বাড়ি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের টিলাগাঁও এলাকায়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গেছে। বুলবুল আহমদ হত্যার রাতেই কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। বুধবার সকালে তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে তিনজন অংশ নেন বলে ঘটনার সময় বুলবুলের সঙ্গে থাকা ছাত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন। হত্যাকারী তিনজন মাস্ক পরা ছিল বলেও ওই ছাত্রী জানিয়েছেন বলে জানান আমিন পারভিন।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গাজীকালুর টিলা এলাকা থেকে বুলবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ২২ বছরের বুলবুল আহমেদ লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তার বাড়ি নরসিংদীতে।
শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে তাদের আটক করা হয় জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’