সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্র বুলবুল আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাত ৯টায় তৃতীয় জানাজা শেষে সামাজিক গোরস্তানে বাবার পাশে তাকে শায়িত করা হয়।
বুলবুলকে শেষবিদায় দিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন শাবির অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম অধ্যাপক আশ্রাফ সিদ্দিকীসহ বুলবুলের সহপাঠীরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা ও মাগরিবের পর নরসিংদীর নন্দীপাড়া গ্রামে বুলবুলের বাড়ির সামনে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বুলবুলের বড় ভাই জাকারিয়া মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে বুলবুলের মরদেহ আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেয় থানা পুলিশ। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে আমরা প্রথমে নরসিংদীর বাড়িতে আসি। সেখান থেকে দাদুর বাড়িতে সামাজিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয়।’
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে গাজীকালুর টিলায় বুলবুল আহমেদের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খবর দেন।
পরে গুরুতর অবস্থায় বুলবুলকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হক জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।