বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কম দামে মোবাইল কিনতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী আহত

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২২ ২৩:০২

‘একটি অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল সেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে, সেখানে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করেন। মোবাইলটি VIVO- Y11. যার মুল্য ছিল সাড়ে ৬ হাজার টাকা। মোবাইল টির বাজার মূল্য ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।’

অনলাইনে দামী মোবাইল কম দামে কিনতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ঢাকা পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহফুজুর জয়। তার বয়স ২৫ বছর।

মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা আব্দুলাহপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে বিকালে ৪ টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার পেট, কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।তার চাচাতো বড় ভাই লুৎফুল্লাহ জানান, মাহফুজুর নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লাহর ভুইগর থাকেন। তিনি ঢাকা পলিটেকনিকেল কলেজ সিবিলের সপ্তম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেন।

তিনি বলেন, ‘একটি অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল সেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে, সেখানে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করেন। মোবাইলটি VIVO- Y11. যার মুল্য ছিল সাড়ে ৬ হাজার টাকা। মোবাইল টির বাজার মূল্য ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।’

তিনি বলেন, ‘মাহফুজুর তার ব্যাবসায়িক প্রায় ২৭ হাজার টাকা একটি বিল তোলেন। পরে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে দুপুরে দিকে আব্দুল্লাহপুর যান মাহফুজুর।

‘আব্দুল্লাহপুর খন্দকার ফিলিং স্টেশন এর উত্তর পাশে কথিত মোবাইল বিক্রেতা সাকিবের সাথে কথা হয় তার। সেখানে কিছু সময় কথা বলার পর সাকিব তার বাসার কথা বলে পাশেই একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ফাঁকা রুমে নিয়ে আরও কয়েকজন এসে তাকে মারধর করে। তার কাছে থাকা মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সে বাধা দিলে ধস্তা ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা মাহফুজুরকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তার ২৭ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।’

তাকে আহত অবস্থায় রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে মাহফুজ এই অবস্থায় বাইরে এলে বাড়িওয়ালার নজরে পরেন। তিনি মাহফুজের ফোন থেকে তার চাচাতো ভাই লুৎফুল্লাহকে কল দিয়ে ঘটনাটি জানান।

পরে তিনি এসে তাকে স্থানীয় একাট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার হয় চিকিৎসক তাকে ভর্তি নেন বলে জানান লুৎফুল্লাহ।

ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আব্দুল্লাপুর থেকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে ভর্তি নেন।’

এ বিভাগের আরো খবর