বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: জামিন হয়নি ৪ আসামির

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২২ ১৮:৩৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিন জনের ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় সাতক্ষীরার আদালত। রায়ে চার বছর করে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড পাওয়া চার আসামি  হাইকোর্টে আপিল করেন। একই আবেদনে তারা জামিনও প্রার্থনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তারসহ ৪ আসামিকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। তবে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

তিনি বলেন, ‘চার আসামির আপিল শুনানির জন্য আদালত গ্রহণ করেছে। তাদের যে অর্থদণ্ড ছিল সেটি স্থগিত করেছে, আর মামলার নথি তলব করেছে। আসামিপক্ষের পৃথক জামিন আবেদনের পরামর্শ দিয়েছে আদালত।’

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন গাজী মো. মহসিন ও শাহানারা পারভীন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, মো.ইয়াছিন আলী, তোফাজ্জল হোসেন ও আব্দুস সাত্তার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় সাতক্ষীরার আদালত।

রায়ে চার বছর করে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড পাওয়া চার আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন। একই আবেদনে তারা জামিনও প্রার্থনা করেন। ওই আপিল শুনানির জন্য আদালত গ্রহণ করে মঙ্গলবার আদেশ দেয়।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে থেকে হামলা হয় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে। ছবি: সংগৃহীত

মামলা থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে কলারোয়ার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। সে বছর ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনায় আহত হন।

কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মোসলেম উদ্দিন এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। থানা মামলাটি রেকর্ড না করায় একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তিনি সাতক্ষীরার আমলি আদালতে মামলা করেন। এ মামলা খারিজ হয়ে যাবার পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এ সময় তদন্ত করে পুলিশ তৎকালীন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।

মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে মামলা বাতিলের আবেদন করেন আসামিরা। এরপর ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার জন্য সাতক্ষীরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

হাইকার্টের নির্দেশের পরে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর মামলাটির বিচার কাজ নতুন করে শুরু হয়। মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের সাজা ঘোষণা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর