সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমদকে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হক সোমবার মধ্যরাতে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।
মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
এদিকে বুলবুল হত্যার প্রতিবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। রাত সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে প্রায় আধঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুলবুলকে হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সোমবার মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেব। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও তাদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাই।’
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গাজীকালুর টিলা এলাকা থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২২ বছরের বুলবুল আহমেদ লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তার বাড়ি নরসিংদীতে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, ওই এলাকায় বুলবুলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে খবর দেন। তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বুলবুল ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন বলে জানিয়েছেন তার এক সহপাঠী।
শিক্ষার্থী অমিত ভৌমিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান মারা যায় বুলবুল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আহত বুলবুলকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হয়। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বিকেলে শিক্ষার্থীরা ওই টিলায় ঘুরতে যায় জানিয়ে পহিল বলেন, ‘কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’