ভোটকেন্দ্রে এক ফল আর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিন্ন ফল জানানোয় এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মাঝুখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটের ফলাফলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের অনিয়মের প্রমাণ পায় ইসি। এর পরই এমন নির্দেশ দেয়া হলো।
রফিকুল কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
দায়িত্বহীন কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মনে করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু নিউজবাংলাকে এসব বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
আউয়াল কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্ব নেয়ার পর ভোটে অনিয়মের দায়ে এই প্রথম কোনো প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হলো।
গত মাসের ১৫ জুন গাজীপুরের মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের ভোট হয়। ভোটের পর কেন্দ্রে এক ফল আর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিন্ন ফল জানান বলে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে নির্বাচনের পর ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের প্রার্থী মোশারফ হোসেন প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক কেন্দ্রে ঘোষিত ফল বহাল রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর আবেদন জমা দেন।
তার এই আবেদনের বিষয়ে তদন্ত করা হলে প্রতিবেদনে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে প্রদত্ত কমিশন বা রিটার্নিং অফিসারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এই ধরনের অসদাচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
এই আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে পারবে। এ ছাড়া তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারবে বা তার পদাবনতি হতে পারে।
সেই সঙ্গে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখারও বিধান আছে।