বরিশালের মুলাদীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে দুটি এজেন্ট ব্যাংক পরিচালনাকারী নুরুল আলমের কাছ থেকে দলবল নিয়ে ৬৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
ছিনতাইয়ের শিকার নুরুল আলম মুলাদীর দরিচর-লক্ষ্মীপুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। উপজেলার প্যাদারহাট ও খাসেরহাটে ইসলামী ব্যাংকের দুটি এজেন্ট শাখা পরিচালনা করেন তিনি।
এ ছাড়া হজ ও ওমরায় লোক পাঠানোসহ মুলাদী উপজেলায় ইমাম সমিতির সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল আলম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নুরুল আলম জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিনি নিজের পরিচালিত দুটি এজেন্ট ব্যাংক থেকে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ৩৩ জনের ৬৪ লাখ ৪২৫ টাকা মুলাদীর ইসলামী ব্যাংক শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার কাঠের পোল এলাকায় ওঁৎপেতে থাকা মুলাদী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক ও তার ভাই এনায়েত হোসেন এবং সহযোগী অনিক সিকদার তার অটোরিকশার গতিরোধ করে।
এ সময় তারা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নুরুলের একটি হাতও ভেঙে দেয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলেও হুমকি দেয়।
নুরুল আলমের অভিযোগ, সম্প্রতি সাখাওয়াত ও তার ভাই এনায়েত তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত ছিল। এ ঘটনার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে ছিনতাই এবং তাকে মারধর করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে সাখাওয়াত হোসেন মল্লিককে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে মুলাদী থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর পরই দুজন এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠাই।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।