রাজধানীর অভিজাত শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে মোবাইল চুরি করে তা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বিক্রি করে একটি চক্র। পুলিশ এ চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারের কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-অনিক হাসান, নাহিদ হোসেন ও নাদিম মোহাম্মদ সাগর।
রোববার বিকেলে বসুন্ধরা, ভাটারা ও কুমিল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গত ৫ জুলাই যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-৪ এর একটি মোবাইল শোরুম থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৭টি আইফোন, ১৪টি স্যামসাং ও ৪টি সনি ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ মোট ৫৫টি মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনার পরদিন দোকান মালিক ভাটারা থানায় মামলা করেন। এ চুরির ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে ডিবি। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এ চক্রটিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ আট মাস আগে চুরি হওয়া ওই মোবাইল শপে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই দোকানের চাবির একটি কপি তৈরি করে নিজের কাছে রাখেন। পরে পূর্ব পরিচিত অনিককে দিয়ে ওই দোকানে চুরি করান তিনি। আর এ চুরি করা মোবাইল প্রতিদিন দু-একটা করে অপর সহযোগী নাদিমের মাধ্যমে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে মোবাইল কিনতে আসা ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করে আসছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগে এক সময় স্টেডিয়াম মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, আন্ডারপাস মার্কেট ও সিনেমা হলের আশপাশ এলাকায় চোরাই ঘড়ি ও মোবাইল বিক্রি হতো। কিন্তু এখন যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরার মতো মার্কেটে চোরাই পথে মোবাইল এনে কেনাবেচা হচ্ছে।’
তিনি গ্রাহক, মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও দোকানদারদের এটি প্রতিহত করতে অনুরোধ জানান।
এ চোরাই মোবাইল বেচাকেনা প্রতিরোধে যে কোনো সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।
এই ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘খিলক্ষেত থানার কুড়াতলীর গ্রেপ্তারকৃত নাহিদের মায়ের মুদি দোকান থেকে বিভিন্ন মডেলের ২৭টি আইফোন, ১৩টি স্যামসাং ও ৫টি সনি ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ মোট ৪৫টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।’