‘প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াত ও সেই চায়ের মধ্যে কী থাকবে- এটা জনগণের মধ্যে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন যে বিরোধী দলকে ডেকে উনি কী খাওয়াবেন? সেই চায়ের মধ্যে কী থাকবে? ধুতুরার ফুল নাকি হেমলকের রস?’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে বিএনপিকে চা খাওয়াব- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির এই নেতা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও কর্মসূচি করলে চায়ের দাওয়াত দেবেন বলেছেন। হঠাৎ আপনার গলার সুর এত নরম হলো কেন? আপনার গলার সুর যখন ক্ষীণ হয়, তখন বুঝতে হয় বিরোধী দলের ওপর আরও কিছু ভয়ংকর নির্যাতন নেমে আসছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বিএনপিকে উদ্দেশ করে আপনি আগেও বলেছেন- আপনারা মামলার কাগজগুলো পাঠান। তখন আমরা দেখেছি, আরও ব্যাপকভাবে মামলা দিয়েছেন। বিএনপির যে নেতা মারা গেছেন সেই লাশের নামে, যিনি হজ করতে গেছেন তার নামে, যিনি হাসপাতালে চিকিৎসারত তার নামেও।’
রিজভী বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার কী এটা জানার জন্য দেশের জনগণের কোনো ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নেয়ার দরকার নেই। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেররা যে দৃষ্টান্ত দিয়েছেন সেটাই বিরাট শিক্ষা।
‘কাদের সাহেবরা প্রায়ই বলে থাকেন যে এটা সংবিধানে নেই। ১৯৯৫-৯৬ সালে এটা সংবিধানে এলো কী করে? এটার দৃষ্টান্ত তো আপনারাই দেখিয়েছেন।’
‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, ওবায়দুল কাদের বলছেন যে দেশে সংকট নেই। কিন্তু সংকট হলে আপনার সাধারণ সম্পাদকরাই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন। সেই শিক্ষাটাও এর আগে আমরা পেয়েছি। আপনি কোথা থেকে চাঁদা নিয়েছেন সেটা ওবায়দুল কাদের সাহেব, শেখ সেলিম সাহেব গোয়েন্দাদের বলে দিয়েছেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি সাবধান থাকবেন। এই সংকটের পরিণতিতে আপনার আশপাশের লোকেরা, আপনার চামচারাই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। কারা মেগা প্রকল্পের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, কারা ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছে, উচ্চসুদে ঋণ নিয়ে যে পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন, এটা করতে গিয়ে জনগণের যে টাকা হরিলুট হয়েছে- এসব জনগণ জানতে চাইবেই।’