জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে হাঁটছে, এমনটাই মনে করেন ডনের কলামিস্ট ও লাহোর ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক উমায়ের জাভিদ।
ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারগুলো ব্যবসায় মালিকদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য এবং শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জাতীয়তাবাদকে কাজে লাগায়। ঠিক একই রকম বাঙালির জাতিগত জাতীয়তাবোধ ও জাতীয় ভাগ্যের ধারণা কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য আদর্শিক প্রেরণা জোগাচ্ছে আজকাল আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে আশার কথা শোনালেও নিজের দেশ পাকিস্তান নিয়ে চিন্তিত উমায়ের জাভিদ।
তিনি মনে করেন, জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তানকে পরিবর্তন করতে সক্ষম শুধু একজন রাজনীতিবিদই, তিনি আর কেউ নন ইমরান খান। অথচ তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে।
সম্প্রতি অনাস্থা ভোটে তাকে পদত্যাগ করতে হয় ও শাহবাজ শরিফের কাছে ক্ষমতা ছাড়তে হয়।
উমায়েরের মতে, জাতীয়তাবোধের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থান অস্পষ্ট এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কাছে জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পাকিস্তানের হাতে আসলে নেই।
কিন্তু টেকসই উন্নয়নের জন্য ‘আইএমএফের চাওয়া’ ও ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর’ ধারণার বাইরে এসে এমন ধারণার ওপর গড়তে হবে, যা এই দুটির থেকেই বড়। স্পষ্টতই তিনি এখানে জাতীয়তাবোধকেই বলতে চেয়েছেন।
অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে দেশটি। বর্তমানে পাকিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভ ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে মাত্র পাঁচ সপ্তাহের আমদানির অর্থ পরিশোধ সম্ভব।
অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কিছুটা চাপে পড়লেও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক নির্ভার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ এখনও ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। জ্বালানির কিছুটা চাপ থাকলেও সংকট নেই।