বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ মদভর্তি আরও ২ কনটেইনার

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২২ ১৬:৩১

শুক্রবার আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আনা দুই কনটেইনার মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে জব্দ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আনা দুই দফায় তিন কনটেইনার মদ জব্দের পর আরও দুই কনটেইনার মদ জব্দ হয়েছে।

বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডে সোমবার বিকেলে মদভর্তি কনটেইনার দুটি জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) এবং পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) টিম।

এআইআর বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরুতে রপ্তানিকারক, তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে পণ্য চালানটির বিষয়ে এআইআর টিমের সন্দেহ হয়। তাই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের নামের একটি কন্টেইনার সিলগালা করে এআইআর টিম। প্রায় একই সময়ে একই কারণে আরেকটা কন্টেইনারের বিষয়ে সন্দেহ হয় পিসিইউ টিমের। তাই তারা বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে আসা কন্টেইনারটি সিলগালা করে। দুটি কন্টেইনারই চায়না থেকে পলি প্রোফাইলিন রেজিন ঘোষণায় নিয়ে আসা হয়েছে। ’

কন্টেইনার দুটির বিল অফ এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় সিএন্ডএফ এজেন্টের নাম জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

এর আগে শুক্রবার আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণা দিয়ে এ বন্দরের মাধ্যমে আনা দুই কনটেইনার মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে জব্দ করা হয়।

র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এসব মদ জব্দ করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা।

কাস্টম কর্মকর্তা সাইফুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার জব্দ করা কনটেইনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৪৩০ কার্টন মদ পাওয়া যায়। এসব কার্টনে মোট ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ রয়েছে, যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা প্রায়। উচ্চ শুল্কের এই পণ্যে মোট ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।’

এরপর রোববার দুপুরে বন্দরে জব্দ করা হয় আরও একটি চালান। বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডে রোববার দুপুরে এসব মদ জব্দ করে এআইআর টিম।

এই কর্মকর্তা জানান, এই দুই কনটেইনারে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এসব মদের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। উচ্চ শুল্কের পণ্য হওয়ায় এই চালানের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।

এই মদ জব্দের পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‍্যাব জানায়, এর পেছনে রয়েছে একটি পারিবারিক সিন্ডিকেট। বাবা ও দুই ছেলের ওই সিন্ডিকেট ভুয়া গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্যের নামে দুবাই থেকে মদের এই বিশাল চালান দেশে আনার চেষ্টা করে।

ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাদের মধ্যে সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী দুই ছেলের একজন রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর