সরকারি প্রকল্পের খরচ কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
পরে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর আজও পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জন্য আমাদের প্রকল্পগুলোর ক্যাটাগরি করা হয়েছে– “এ” , “বি”, “সি”। “এ” ক্যাটাগরির যেগুলো, সেগুলো ইমিডিয়েটলি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঠিক করবে তারা গুরুত্ব অনুযায়ী কোন প্রকল্পগুলোকে “এ” ক্যাটাগরিতে, কোন প্রকল্পগুলোকে “বি” ক্যাটাগরিতে ও কোন প্রকল্পগুলোকে “সি” ক্যাটাগরিতে ফেলবে।
‘এ-ক্যাটাগরির প্রকল্পের পুরো টাকা খরচ করা যাবে। “বি” ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যাবে। “সি” ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘কেনাকাটায় যথাসম্ভব যেগুলো ইমিডিয়েট না কিনলে হবে না, সেই জাতীয় কেনাকাটা চলবে। যেগুলো আপাতত না কিনলেও চলবে, সেই সব কেনাকাটা আপাতত স্থগিত থাকবে।
‘বিদেশে প্রশিক্ষণের বিষয়ে তো ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছে। ট্রেজারি থেকে বিল হয় এমন কোনো বিদেশ ভ্রমণ এখন মন্ত্রণালয়গুলো করতে পারবে না। সরকারি টাকায় সব ধরণের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে দরপত্রে থাকা দরদাতার ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তর সংক্রান্ত যে বিদেশ সফর রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে খুবই জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে কোথাও কোথাও যদি এক-ফসলি জমি থাকে, সেখানে তিন ফসল করার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। বাড়ির উঠানে শাকসবজি এগুলো করতে হবে।
‘সবাইকে একটু সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুরোধ করেছেন। কারণ এটা আমরা জানি না, কালকে-পরশু চুক্তি হলো, কালকেই আবার ইউক্রেনের ওদিসা বন্দরে বোমাবর্ষণ হয়েছে। চুক্তি হয়েছে ইউক্রেন থেকে খাবারটা যেন বাহিরে আসে। বন্দর ছাড়া আসবে কীভাবে? এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে খাবার ও সার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে, যেভাবে হোক আমরা যেন সাশ্রয়ী হই। অহেতুক এনার্জি ও টাকা-পয়সা খরচ না করি। আমি ইতোমধ্যে আমার অফিস রুমে জানালার পর্দা তুলে দিয়েছি, ছোট লাইটগুলো বন্ধ রাখছি।’
সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী হতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।