নির্বাচন কমিশন (ইসি) মন্ত্রণালয় নয় মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইসিতে থেকে মন্ত্রী হয়ে যাওয়াটা সমস্যার।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের সপ্তম দিন সোমবার ওয়াকার্স পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংলাপে ওয়াকার্স পার্টি নির্বাচনকালে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীন ন্যস্ত করার পরামর্শ দেয়।
দলটির প্রস্তাব হলো ইসি নির্বাচনের আগে-পরের তিন মাস করে ছয় মাস নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বদলি, পদোন্নতি, কর্তব্যে অবহেলার জন্য শাস্তি দেয়ার কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে না।
দলটির এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি তার অবস্থান ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ কীভাবে গঠন হবে, কাদের নিয়ে হবে, তা সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশন ইজ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ইজ নট এ মিনিস্ট্রি (নির্বাচন কমিশন মন্ত্রণালয় নয়)। এটা আপনারা জানেন।
‘আমি কিন্তু নির্বাচন কমিশনের হোম মিনিস্টার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী), ডিফেন্স মিনিস্টার (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) বা ওই ধরনের কোনো মিনিস্টার হয়ে যাব, সেটা আরেকটা সংকট সৃষ্টি করতে পারে।’
মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব ন্যস্ত করলেই নেয়া যাবে, এমনটা মনে করেন না সিইসি। তার ভাষ্য, ‘কারণ কেবিনেট ইন রিলেটেড বাই দ্য কনস্টিটিউশন (মন্ত্রিপরিষদের বিষয়টি সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত)। হ্যাঁ, সংবিধান ও আইনকানুন সংশোধন করে যদি আমাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়, তাহলে নেয়া যাবে। আদারওয়াইজ (অন্যথায়) লিগ্যালি দিতে চাইলে যে আমরা নিতে পারব বা নেব, এ বিষয়ে আশ্বাস দিতে পারি না।’