হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে জন্মস্থান গাইবান্ধার সাঘাটায় পৌঁছেছে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বী।
তিনি জানান, রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারটি বেলা ১টা ৪০ মিনিটে সাঘাটার হেলেঞ্চা গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে এসে পৌঁছায়।
সেখান থেকে সড়কপথে মরদেহ স্থানীয় ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মরদেহে সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মী, রাজনৈতিক সহকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়।
একই মাঠে বেলা ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হবে নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে। সেখানে বিকেল সাড়ে ৫টায় আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর পরপরই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানান ফরহাদ রাব্বী।
ফজলে রাব্বীর জানাজা ও দাফনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরহাদ রাব্বী ও মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি।
এ ছাড়া ফজলে রাব্বীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ দুই দফা জানাজা ও সুষ্ঠুভাবে দাফনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে সোমবার সকালে তার মরদেহ দেশে আসে।
বিমানবন্দর থেকে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় ঈদগাহে। সেখানে তার জানাজা হয়।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ফজলে রাব্বী মিয়ার। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। গত বছরের জুনে তার পেটে থাকা টিউমার অপসারণ করা হয়।
সে অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় ফজলে রাব্বীর শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এমন বাস্তবতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আগস্টে তাকে ভারত নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের টানা সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।