‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’
পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের এক নেতার এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফলে নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেল এমন কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় ওই উঠান বৈঠকে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুক পাশে বসা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে মিডিয়ার সামনে তার সম্পর্কে কথা বলেও আলোচনায় এসেছিলেন।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেলের এমন বক্তব্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘ইভিএমের ত্রুটি বের করার জন্য বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা নানামুখী প্রশ্ন তোলার চেষ্টায় থাকেন। একই সুরে যদি খোদ আওয়ামী লীগ নেতারা কথা বলেন তাহলে সরকার তথা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এতে তৃণমূলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহানুর খান মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। লিখিত ও ভিডিও বক্তব্য পেয়েছি। এ ব্যাপারে দ্রুতই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সোমবার রাত থেকে বহিরাগত কেউ এলাকায় থাকতে পারবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো। আমরা আশা করি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে জোবায়দুল হক রাসেলের মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দেয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।