কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা নারীদের গলা থেকে চেইন চুরি করার সময় এক নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২৩ বছর বয়সী ইয়াছমিন আক্তারকে আটক করা হয়। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের উচারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়ার স্ত্রী।
হোসেনপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ আলম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, করোনার সময় টিকা নিতে আসা নারীদের টার্গেট করে হাসপাতালে নারী চোরদের উপদ্রব বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন সময়ে সেবা নিতে এসে শুধু এই হাসপাতাল থেকেই অর্ধশতাধিক নারীর স্বর্ণের চেইন খোয়া গেছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় হাতেনাতে চোর ধরা পড়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাবের কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ জন্য চুরির ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে।
রোববার চোর চক্রের সদস্য ইয়াসমিনকে হাতেনাতে আটকের পর ভুক্তভোগীদের তোপের মুখে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল শামীম জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ানো দুই নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন চুরির ঘটনা ঘটে।
এ সময় সৌদি প্রবাসী ফয়জুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা আক্তার তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয়টি আঁচ করে চিৎকার শুরু করলে ওই লাইনে থাকা ইয়াসমিন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় ইয়াসমিনকে জাপটে ধরেন জোসনা। তবে ঘটনার সময় ইয়াসমিনের হাত থেকে চেইনটি নিয়ে পালিয়ে যায় তার আরেক সহযোগী নারী।
হোসেনপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ইয়াসমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, ‘আটক ইয়াছমিন আন্তজেলা চোর চক্রের সদস্য। সে পালিয়ে যাওয়া ওই নারীর সঙ্গে কটিয়াদীতে বসবাস করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’