বগুড়ার ধুনটে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে আটক হয়েছেন এক নারী। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, অণ্ডকোষে চাপ দিয়ে স্বামী আব্দুর রহিমকে তিনি হত্যা করেছেন। তবে মৃতদেহের সুরতহাল শেষে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহে গভীর কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই; ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।
এ ঘটনা ঘটেছে ধুনটের নিমগাছি ইউনিয়নের ধামাচাপা গ্রামে, রোববার দুপুরে। মৃত আব্দুর রহিমের বয়স ৬৫ বছর। তিনি কৃষিকাজ করতেন। হত্যায় অভিযুক্ত বিউটি খাতুন তার তৃতীয় স্ত্রী। তাদের বিয়ে হয় প্রায় ৬ বছর আগে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতের স্বজনদের বরাতে তিনি জানান, রোববার সকালে স্ত্রীকে ভাত রান্না করতে বলেন আব্দুর রহিম। তাতে দেরি হওয়ায় স্ত্রী বিউটিকে তিনি মারধর করতে শুরু করেন। বিউটি তখন আব্দুর রহিমের অণ্ডকোষ চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। মৃতের স্বজনরা বিউটিকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন।
আব্দুর রহিমের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রোজিনা খাতুনের অভিযোগ, বিউটি এর আগেও তার বাবাকে অণ্ডকোষ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
বিকেলে পুলিশ গিয়ে আব্দুর রহিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আটক করা হয় বিউটিকে।
বিউটি বলেন, ‘আমাকে মারধরের সময় হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে সে (স্বামী) মারা গেছেন। আমার স্বামীকে আমি হত্যা করিনি।’
মরদেহের সুরতহাল করেন ধুনট থানার এসআই মতিউর রহমান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরদেহে কোথাও গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল না। দেহের কয়েকটি স্থানে কাদামাটি লেগে ছিল। দেখে মনে হয়েছে কারও সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে। সুরতহাল করার সময় অণ্ডকোষের আঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বোঝা যায়নি। এ বিষয়টি ফরেনসিক রিপোর্টে সুনিশ্চিত হওয়া যাবে।’
অণ্ডকোষে চাপ লেগে মানুষের মারা যাওয়া অস্বাভাবিক বলে জানান শহীদ জিয়া মেডিক্যালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ।
তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় অণ্ডকোষে চাপ লাগা, এমনকি কেটে গেলেও মানুষ মারা যাবে না। তবে ওই ব্যক্তির যদি হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো বড় অসুখ থাকে সে ক্ষেত্রে আলাদা কথা। এমন গুরুতর পরিস্থিতি ছাড়া সুস্থ মানুষের অণ্ডকোষে চাপ লেগে মারা যাওয়ার কথা না।’