বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসিতে অযাচিত নাক গলাচ্ছেন বিদেশি কূটনীতিকরা: জাসদ

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২২ ১৭:৪৯

জাসদ জানায়, ‘কতিপয় বিদেশি কূটনৈতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেয়া।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনৈতিকরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি এবং অযাচিতভাবে নাক গলাচ্ছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সংলাপে রোববার লিখিত বক্তব্যে এমন দাবি জানায় দলটি।

দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ইসির কাছে লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কতিপয় বিদেশি কূটনৈতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেয়া।’

এদিকে চলতি মাসেই বিভিন্ন দেশের ১৪ জন রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনার- সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইএসডি) ব্যানারে তারা এই সাক্ষাৎ করেন।

এটি মূলত আন্তসরকারি সংস্থা। বিশ্বের ৩৮ দেশ এই সংস্থার সদস্য হলেও ১৪ দেশের প্রতিনিধিরা সংলাপে আসেন। এর আগে গত ৮ ও ২৬ জুন যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এর পরই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর জাসদ।

জাসদের লিখিত প্রস্তাবগুলো হলো-

জাসদ মনে করে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রস্তুত থাকা।

যেকোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের জড়িত হওয়া বা মতামত, বক্তব্য, মন্তব্য প্রদান করা উচিত নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয়।

নির্বাচন নিয়ে সংবিধান ও আইনবহির্ভূত কোনো অসাংবিধানিক ও আইনসম্মত নয় এমন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রস্তাবকে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়।

জাতীয় নির্বাচনসহ অন্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দুর্বলতা থাকলে তা দূর করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ অন্যান্য নির্বাচনি আইনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন বা চাহিদা থাকলে নির্বাচন কমিশনের উচিত তা সুনির্দিষ্টভাবে আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের কাছে উত্থাপন করা। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিও এমন প্রয়োজনবোধ করলে তা আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের নিকট সুনির্দিষ্টভাবে উত্থাপন করতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইভিএম পদ্ধতি সংযোজনকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানায়। ইভিএমে ভোটগ্রহণে বাস্তবে কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। কিছু প্রশ্ন ও বিতর্কও তৈরি হয়েছে। জাসদ ইভিএমের সমস্যা সমাধান করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়।

দলটি জানায়, বর্তমানে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের সমগ্র প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ। জাসদ এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে।

জাসদ একই সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও সংশোধনের জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়াটিকে সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে।

জাসদ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একই তথ্যপঞ্জিতে সমন্বিত করা এবং হালনাগাদ করা তথ্য সব সময় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রাখা। প্রবাসী ভোটারদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছে।

গণপ্রতিনিধত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন না করা। জাসদ গণপ্রতিনিধত্ব আদেশ অনুযায়ী কঠোর প্রয়োগ করে একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোনো দলকে নিবন্ধন না দেয়া।

এ সময় জাসদ নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।

জাসব নির্বাচনি ব্যয়সীমা যৌক্তিকীকরণ এবং আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে অবৈধ অর্থের ব্যবহার বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।

নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের চাহিদামতো নির্বাহী বিভাগকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন ও অসদাচরণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানায়।

জাসদ মনে করে, নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে ব্যবহার করতে পারবে।

দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি ইসি সংলাপে অংশ নেন। সিইসি ছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর