চার্জার ফ্যান গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অপরাধে দুই জেলায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। ক্রেতার স্বার্থ রক্ষায় আগামীতেও এ অভিযান চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাসসহ বিদ্যুৎ তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিবহনব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি সংকটে দেশে কমেছে বিদ্যুতের উৎপাদন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে সারা দেশে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও লাইটের চাহিদা। এই সুযোগে ক্রেতার কাছে বেশি দামে এসব পণ্য বিক্রির অপরাধে ময়মনসিংহে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শহরের সি কে ঘোষ রোড ও রামবাবু রোডে রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় চার্জার ফ্যান ও লাইটের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার তথ্য আসে আমাদের কাছে।
‘এরপর দুপুরে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, আজগর ইলেকট্রনিকসে ওয়াল্টন ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের গায়ের মূল্য ৩ হাজার ৪৫০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকায় এবং ১৪ ইঞ্চি ফ্যানের দাম ৩ হাজার ৬৫০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ টাকায়।’
বেশি দাম নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানেও। তিনি বলেন, ‘সরকার ইলেকট্রনিকসে ওয়াল্টন ১২ ইঞ্চি ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় এবং ৩ হাজার ৮৫০ টাকায় কেনা গোল্ডেন স্টার ফ্যান বিক্রি করা হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়।’
অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফ্যানের ক্ষেত্রেও অযৌক্তিক হারে লাভ করা হচ্ছে জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করার অপরাধে আজগর ইলেকট্রনিকসকে ৫ হাজার ও সরকার ইলেকট্রনিকসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। শহরের অন্যান্য ইলেকট্রনিকসের দোকানেও অভিযান চালানো হবে।’
অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করলেই জরিমানার আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
নওগাঁর মান্দায় চার্জার ফ্যানের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অপরাধে এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ছাড়া আরও দুই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন রোববার দুপুরে উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’