বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমিশনের ক্ষমতার ঘাটতি দেখছেন না সিইসি

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২২ ১৬:৫৮

সংবিধান, আইন, বিধিসহ নানা আইনি বিষয় তুলে ধরে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না। ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে তা-ও অনুভব করছি না। আপনারা আইনগতভাবে সহযোগিতা-সমর্থন না দিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করলে কঠিন হবে। কমিশনকে দেয়া ক্ষমতা আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না। ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে তা-ও অনুভব করছি না।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোববার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সঙ্গে সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘শাসক দলকে বলতে শুনেছি যে আমরা ওদেরকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি- আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারব না। সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান করা।

‘বিদেশি কূটনীতিকদের দুটি গ্রুপ কমিশনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তবে তারা কোনো ধরনের পরামর্শ দেননি। আগের কমিশনের ধারাবাহিকতা অনুসরণে ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তারা।’

সংবিধান, আইন, বিধিসহ নানা আইনি বিষয় তুলে ধরে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না। আপানারা আইনগতভাবে সহযোগিতা-সমর্থন না দিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করলে কঠিন হবে। কমিশনকে দেয়া ক্ষমতা আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করব।’

‘নির্বাচনের সময় বিধি-বিধানগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সে সময় ইসির দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হতে পারে। তবে নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা এসেছে। বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে কেউ বাড়তি সুবিধা ভোগ করে, কেউ কেউ কম সুবিধা ভোগ করে। কোনো দিকে পক্ষপাতদুষ্ট আবার কোনো দিকে নীতিবান হয়ে পড়ি।

‘আমাদের দায়িত্ব মূলত একটাই, সবাই যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। খুব বেশি দায়িত্ব আমাদের না। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আসবে। নির্বাচনে সহিংতা রোধে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা খানম বলেন, ‘একটা খারাপ নির্বাচন করে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মোটেই ইচ্ছা নেই। মানুষ আমাদের খারাপ ভাবুক এটা আমরা চাই না।

‘নির্বাচনে টাকা তো লাগবেই। কিন্তু কেন এত টাকার প্রশ্ন আসবে কেন? কেন এত টাকা খরচ করতে হবে? গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে টাকা ব্যয়ের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। আমরা কিন্তু তার মধ্যে থাকতে পারছি না। আপনারা একটু চিন্তা করেন কেন থাকতে পারছি না। এই পরিবেশ থেকে নির্বাচনি ব্যবস্থাটা সরে যাচ্ছে।’

এই কমিশনার বলেন, ‘কমিশনের আমরা এই পাঁচজন মানুষ একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বসে সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করে ফেলব, একদিনের মধ্যে একেবারে আইন করে ফেলবো, এটা কিন্তু কঠিন। তবে কঠিন হবে না, যদি আপনাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকে।’

সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর