বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বপ্ন ও সেতুকে রেখে না ফেরার দেশে পদ্মা

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ২৩:২৯

জাহিদুল বলেন, ‘রাতে বাচ্চাগুলো প্রশ্রাব ও পায়খানা করে বলে তাদের জন্য প্লাষ্টিকের কাগজ কিনতে বিকেলে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই স্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, পদ্মা কেমন যেন করছে।’

চলতি মাসের ১৮ জুলাই দিনাজপুরের বিরামপুর ইমার উদ্দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাধিনা বেগম। জন্মের পরপরই তাদের নাম রাখা হয়- স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। কিন্তু জন্মের মাত্র পাঁচদিনের মধ্যেই মারা গেছে পদ্মা।

শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পদ্মার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার। পরে রাতেই জানাজা শেষে স্থানীয় নলপুকুরা গোরস্তানে শিশুটিকে দাফন করা হয়।

পরিবারের বরাতে জানা গেছে, জন্মের পরপরই কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকরা প্রসূতি সহ পদ্মা, স্বপ্ন ও সেতুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থভাবে ৩ সন্তান নিয়ে বাড়ি ফেরেন সাধিনা।

একসঙ্গে ৩ সন্তান জন্ম হওয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছিল সাধিনা ও জাহিদুল দম্পতির ঘরে। কিন্তু সেই আনন্দ এবার মলিন হয়ে গেছে পদ্মার মৃত্যুতে।

বাবা জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি স্ত্রী সাধিনাকে নিয়ে ঢাকার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার সংসারে ১৪ বছর বয়সী একটি কন্যা রয়েছে। গত ৭ জুলাই সন্তান প্রসবের জন্য তিনি স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে ১৮ জুলাই দুপুরে একসঙ্গে তিন সন্তান প্রসব করেন সাধিনা।

একই দিনে মা ও সন্তানদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে তিনদিন চিকিৎসার পর গত ২১ জুলাই সুস্থ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

জাহিদুল বলেন, ‘রাতে বাচ্চাগুলো প্রশ্রাব ও পায়খানা করে বলে তাদের জন্য প্লাষ্টিকের কাগজ কিনতে বিকেলে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই স্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, পদ্মা কেমন যেন করছে। বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে!’

এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক মামুনুর রশিদ জানান, ‘আমি বাচ্চাগুলোকে সুস্থই দেখেছি। তারা সুস্থই ছিল। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হয়, পেটে গ্যাসের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।’

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘আমি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আমি বলেছি বাকি দুই সন্তানকে যেন তারা হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমার মনে হয়, তাদের অজ্ঞতার কারণেই বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর